স্বাধীন উত্তরকালে বিপর্যস্ত অর্থনীতি, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবিন্যস্থ বন্দর ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে পর্যাপ্ত নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল জরুরী ভিত্তিতে যোগান দেয়া এবং ন্যায্য মূল্যে ভোগ্য পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-৬৮/১৯৭২ এর মাধ্যমে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ১ জানুয়ারী, ১৯৭২ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। আশির দশকে মুক্তবাজার অর্থনীতি বিকাশের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ভুমিকা সীমিত হয়ে আসে। পরবর্তীতে মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সরকারী উদ্যোগের অপরিহার্যতা বিবচনা করে বর্তমান সরকার টিসিবিকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
মিশনঃ
নিদিষ্ট কিছু সংখ্যক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আপদকালীন মজুদ গড়ে তুলে প্রয়োজনীয় সময়ে ভোক্তা সাধারণের নিকট সরবরাহ করার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক ভুমিকা রাখা।
(ক) সময় সময় সরকারের নীতিমালা অনুসারে সকল দেশ থেকে কিংবা সকল দেশে মালামাল, পণ্যদ্রব্য, সামগ্রী আমদানি এবং রপ্তানির ব্যবসা পরিচালনা করা;
[সময় সময় সরকারের নির্দেশনা অনুসারে জরুরী পণ্যদ্রব্যের পর্যাপ্ত বাফার স্টক গড়ে তোলা এবং মজুদ রাখা]
(খ) ইহা দ্বারা [এবং স্থানীয়ভাবে ক্রয় করা] আমদানিকৃত মালামাল, পণ্যদ্রব্য, উপাদান সামগ্রী বিক্রয় এবং বিতরণের ব্যবস্থা করা এবং এই ব্যাপারে সময় সময় সরকারি নির্দেশনার অধীনে এই উদ্দেশ্যে ডিলার/এজেন্ট নিয়োগ করা এবং অন্য কোন কিছু করা; এবং
(গ) এই দফার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ কর্ম করা এবং এই দফায় উল্লিখিত বিষয়ের সহায়ক কোন কাজ কর্ম করা।
এছাড়াও বাজারে পণ্য দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি’র গুরুত্ব অপরিসীম। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জনগণের স্বার্থেই টিসিবি‘র ন্যায় একটি রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক সংস্থা কার্যকর থাকা একান্ত আবশ্যক। সে গুরুত্ব অনুধাবন করেই বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই টিসিবিকে সক্রিয় ও শক্তিশালী করার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।